বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন
আমজাদ হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোথাও নেই ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয় করার ব্যবস্থা। এ কারণে অনেক রোগীকে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে বিভাগীয় শহর বরিশালে।
হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয়ের ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জ্বর নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা। বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মোঃ তামিম (২০) নামে এক যুবক গত দশ দিনে জ্বরে ভুগছেন। চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন তার ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে। কিন্তু ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকার কারণে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি তারা।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পিকে সাহা বলেন, আমাদের হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয়ের ব্যবস্থা নেই। আশা করছি কোরবানির আগেই ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয়ের সকল পরীক্ষা চালু করা সম্ভব হবে।
এদিকে বাউফল পৌরসভা কর্তৃক এখন পর্যন্ত মশক নিধনের কোনো কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়নি। বাউফল পৌর শহরের ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য পরিত্যক্ত ডোবা নালা। এসব স্থানগুলো মশক প্রজননের অভয়াশ্রম বলে বিবেচিত। পৌর শহরের অভ্যন্তরে এসব স্থানে অচিরেই মশক নিধনে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন সচেতন পৌরবাসী।
বাউফল পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রুহুল আমিন হাওলাদার বাবু বলেন, সারাদেশে যেভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে তাতে আমরাও নিরাপদ নই। অচিরেই পৌর শহরের মশক প্রজনন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে মশক নিধনের কার্যক্রম শুরু করা উচিত।
এ বিষয়ে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল বলেন, মশক নিধনের জন্য কোনো বরাদ্দ না থাকলেও আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে মশক নিধনের ওষধ কেনা হয়েছে। আশা করছি স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই মশকনিধন কার্যক্রম শুরু হবে।
Leave a Reply